ব্লগটি শেয়ার করুন

মুফতী সিরাজী

কোরবানীর তাৎপর্য → মুফতী সিরাজী

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

সিগারেট নিয়ে কিছু কথা

শরীয়াতের আলোকে কিছু কথা

☆☆সিগারেট হালাল
নাকি হারাম☆☆


অনেকেই তর্ক করে সিগারেট
খাওয়া হালাল নাকি হারাম এই
নিয়ে কিন্তু এই লেখাটি এ
বিষয়ে তর্কের
সমাপ্তি করবে বলে আশা করছি।

কুরআন-হাদীস কি বলে একটু
দেখে নেয়ার পর
আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেব।
ইনশাআল্লাহ

★ সিগারেটের
গায়ে লেখা থাকে "ধুমপান
মৃত্যু
ঘটায়"।

আল্লাহ পাক বলেন,
"তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের
দিকে নিক্ষেপ
করো না।" [বাকারা-১৯৫]


সিগারেট
নেশাজাতীয়
জিনিস।
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন,
"প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খামার)
আর প্রত্যেক নেশার
জিনিসই হারাম।" [মুসলিম-২০০৩]

★ কেউ একসাথে ১০ টি সিগারেট
খেলে তার নেশা হতে বাধ্য।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যা অধিক
সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম
সেবন করাও
হারাম।" [তিরমিযি-১৮৬৫, আবু
দাঊদ-৩৬৮১]

★ সিগারেট অপবিত্র জিনিস।
আল্লাহ পাক বলেন, "তোমাদের
জন্য পবিত্র বস্তু হালাল ও অপবিত্র বস্তু
হারাম
করা হয়েছে।" [আরাফ-১৫৭]

★সিগারেটে অপব্যায়
ছাড়া কোন ফায়দা নেই।
আল্লাহ পাক বলেন, "নিশ্চয়ই
অপব্যায়কারী শয়তানের
ভাই।" [সূরা ইসরা-২৭]

★সিগারেটের ধোঁয়ায় মানুষ চরম
কষ্ট পায়।
রাসূল (সাঃ) বলেন
"যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস
রাখে, সে যেন
প্রতিবেশীকে কষ্ট
না দেয়।" [বুখারী]

★সিগারেট পুষ্টিকর
কিংবা ক্ষুধা নিবারণ মূলকও
কিছুই নয়। জাহান্নামীদের খাবারের
প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন,
"এটা তাদের পুষ্টিও
যোগাবে না ক্ষুধাও নিবারণ
করবে না।

" [গাশিয়াহ-৭] [[এ বার
আপনি সিদ্ধান্ত নিন হারাম
সিগারেট
খাবেন নাকি ছেড়ে দেবেন]]


বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৪

চোর থেকে আল্লাহর ওলি

চোর থেকে দরবেশ।

এক বাদশার ছিলেন পরমা সুন্দরী এক কন্যা।

এক চোর সেই সুন্দরী কন্যার উপর আশেক
ছিল। কিন্তু যেহেতু সে চোর, তাই
সে জানতো যে, তাকে পাওয়া তার
পক্ষে খুব কঠিন ব্যাপার।

ঘটনাক্রমে একদিন
সে চুরির উদ্দেশ্যে বাদশার ঘরে প্রবেশ
করলো। তখন বাদশা এবং বেগম তাদের
মেয়ের বিয়ার
ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন।

 বদশাহ
বললেন, আমাদের মেয়ের বিবাহ
দিবো এক আল্লাহওয়া পরহেজগার
লোকের সাথে।
চোর এ
কথা শুনে চুরি করা ভুলে গেল
এবং বাদশাহর সিদ্ধান্তের কথাকে বিরাট
এক গনিমত মনে করলো যে, তার
প্রিয়তমাকে পাওয়ার সঠিক
ব্যবস্থা জানা হয়ে গেছে।

 এখন
পরহেজগার হয়ে যাওয়াই ভাল।
চোর বাদশার
ঘর হতে বাহির হয়ে সে এক
মসজিদে গিয়ে বসল এবং রাত দিন আল্লাহর
এবাদতে মশগুল হয়ে পড়লো।
ফলে তার
খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো যে, এই
মসজিদে একজন বড় দরবেশ এসেছে।

এদিকে বাদশাহ তার মেয়ের বিবাহের
পাত্র খোজার জন্য লোক
লাগিয়ে দিলেন।

একজন পরহেজগার পাত্র খোজার জন্য
চারিদিকে লোক ছুটল।
অনেক
খোজাখোজির পর অবশেষে জানা গেল
যে, অমুক মসজিদে এমন এক
আল্লাহওয়ালা আছেন যার চেয়ে অধিক
মুত্তাকী সারাদেশে আর একটিও নাই।

সুতরাং বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিবাহের
পয়গাম নিয়ে বাদশাহের দুত তার
কাছে গিয়া হাজির।

 কিন্তু চোরের কাজ
ততদিনে সারা হয়েগেছে।
আল্লাহর এবাদতের শান্তিতে তার অন্তর
এত ভরপুর হয়ে উঠল যে, রাজকন্যা এবং সাত
রাজার ধনও তার কাছে তখন তুচ্ছ
মনে হতে লাগল।
সে দুত কে বলল
আপনারা যান, আমার সময় নষ্ট করবেন না।


বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০১৪

আকর্ষনীয় আমল সমূহ

দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয়
তিনটি আমল

[ এক ] কোরআন মাজিদ তিলাওয়াত করা।

[ দুই ] ক্ষুদার্থকে খানা খাওয়ানো।

[ তিন ] উলঙ্গকে কাপড় পরিধান করানো।

কোরআন এবং হাদিসে এই আমলগুলায়
অনেক সাওয়াবের কথা বর্ণনা রয়েছে।

তা ছাড়া আমাদের ঈমানী দায়িত্বও।

তাই আমরা যেন এই আমলগুলা
ঠিকমত করার চেষ্টা করি।

সিরাজী 


কোরবানী


কুরবানী করুন আল্লাহর রাজি খুশির


জন্য, গোশত খাওয়ার জন্য নয়। 

=========================.=======®
বছর গুরে আবার এল পবিত্র ঈদুল আযহা।

এই দিনে সারা বিশ্বের মুসলমানগণ
আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করেন।
যেমন করেছিল হযরত ইব্রাহিম (আ)
সৃষ্টির সেই আদিকাল অর্থাৎ আদম (আ)
এর সময় থেকে শুরু হয়ে এই পর্যন্ত
কুরবানীর ধারাটি চলে এসেছ। 

এর
মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
করা যায়। 
কুবানীর ঈদের দিনে পশু
কুবানী ব্যতীত অন্য কোন ইবাদত নেই
যা আল্লাহ অধিক পছন্দ করেন।
কুরবানীর নির্দেশ দিয়ে আল্লাহর
পবিত্র কুরআনে বলেন নামাজ আদায়
করুন এবং আপনার প্রভুর
উদ্দেশ্যে কুরবানী করুন। 
সেই
সাথে আমাদের
মনে রাখতে হবে কুরআনের
আরেকটি বাণী, আল্লাহর নিকট
তোমাদের কুরবানীর (প্রাণীর) রক্ত -
মাংস কিছুই পৌছেনা। 

শুধু
পৌছে তোমাদের মধ্যকার তাকওয়া ও
পরহেজগারী। তাই আমাদের এই
কুরবানীর পশু জবাইয়ের
সাথে সাথে নিজের মনের
মধ্যে যে পশু লুকায়িত আছে,
তাকে জবাই
করতে হবে এবং মনকে মহান আল্লাহর
জন্য ফ্রেশ করতে হবে। 

একেই
বলে ইখলাস। 
কুরবানী কবুল হওয়ার
ইখলাস জরুরী। 
এ ইখলাসের
দাবী হচ্ছে মহান আল্লাহর জন্য সব
কিছু করা। 

তাই শুধু
লোকদেখানো কুরবানী বা গোশত
খাওয়ার জন্য
কুরবানী করলে এতে কুরবানী আদায়
হবে না।
 আমাদের নিয়ত থাকতে হবে,
আল্লাহকে রাজি - খুশি করা।

কুবানীর মাধ্যমে নিজের মনের
পশুত্বকে জবাই করে আল্লাহর
নাফরমানী থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহর
প্রিয়পাত্র হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

তবেই এই কুরবানী সার্থক হবে।


Twitter Delicious Facebook Digg Favorites More