কুরবানী করুন আল্লাহর রাজি খুশির
জন্য, গোশত খাওয়ার জন্য নয়।
=========================.

বছর গুরে আবার এল পবিত্র ঈদুল আযহা।
এই দিনে সারা বিশ্বের মুসলমানগণ
আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করেন।
যেমন করেছিল হযরত ইব্রাহিম (আ)
সৃষ্টির সেই আদিকাল অর্থাৎ আদম (আ)
এর সময় থেকে শুরু হয়ে এই পর্যন্ত
কুরবানীর ধারাটি চলে এসেছ।
এর
মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
করা যায়।
কুবানীর ঈদের দিনে পশু
কুবানী ব্যতীত অন্য কোন ইবাদত নেই
যা আল্লাহ অধিক পছন্দ করেন।
কুরবানীর নির্দেশ দিয়ে আল্লাহর
পবিত্র কুরআনে বলেন নামাজ আদায়
করুন এবং আপনার প্রভুর
উদ্দেশ্যে কুরবানী করুন।
সেই
সাথে আমাদের
মনে রাখতে হবে কুরআনের
আরেকটি বাণী, আল্লাহর নিকট
তোমাদের কুরবানীর (প্রাণীর) রক্ত -
মাংস কিছুই পৌছেনা।
শুধু
পৌছে তোমাদের মধ্যকার তাকওয়া ও
পরহেজগারী। তাই আমাদের এই
কুরবানীর পশু জবাইয়ের
সাথে সাথে নিজের মনের
মধ্যে যে পশু লুকায়িত আছে,
তাকে জবাই
করতে হবে এবং মনকে মহান আল্লাহর
জন্য ফ্রেশ করতে হবে।
একেই
বলে ইখলাস।
কুরবানী কবুল হওয়ার
ইখলাস জরুরী।
এ ইখলাসের
দাবী হচ্ছে মহান আল্লাহর জন্য সব
কিছু করা।
তাই শুধু
লোকদেখানো কুরবানী বা গোশত
খাওয়ার জন্য
কুরবানী করলে এতে কুরবানী আদায়
হবে না।
আমাদের নিয়ত থাকতে হবে,
আল্লাহকে রাজি - খুশি করা।
কুবানীর মাধ্যমে নিজের মনের
পশুত্বকে জবাই করে আল্লাহর
নাফরমানী থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহর
প্রিয়পাত্র হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
তবেই এই কুরবানী সার্থক হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন