দ্ব্যর্থহীকন্ঠে আমাদের কিছুু কথা
স্বামীজী! দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলিয়ে ফেলুন! মুসলিম আমি চির উন্নত মমশির।
ভারতবর্ষে আপনাদের যেমন মোড়লগিরীর দাপোটে আজ নড়বড়ে পরিস্থিতি, তেমনি আমাদেরও আছে সর্ববৃহৎ ঈমানী জ্বালাময়ী চেতনা।
কী বিশ্বাস হচ্ছেনা? তাহলে ইন্ডিয়ান প্রাচীন দলিল পত্র/ স্থাপনা নিদর্শনগুলো খাতিয়ে দেখুন।
পেয়ে যাবেন সহস্রাধিক প্রমান, যেখানে একথা পরিস্কার যে. সাড়ে আটশত বৎসর বিচক্ষণতার সাথে রাজত্বকাল অতিবাহিত করেছি আমরা।
আমাদের হাতেই ভারতের সকল জাতি "কর" দিয়ে ব্যবসাবাণিজ্য, জমিজায়গা, লেনদেনজনিত সহ সকল দৈনিন্দিন কার্যসম্পাদন করতো।
শুধু কি তাই? ভারতবর্ষে আইন-নীতি, যত ধরণের শাসনকাজ ছিল, সব কিছুই আমাদের নিপুণ হাতে পরিচালিত হতো।
যে কোন জুলুমবাজ মোড়লদের পাকড়াও করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে সন্তুষ্টচিত্ত বিচারের ভূমিকায় অটুট থেকেছি।
ইংল্যান্ডের এক রাষ্ট্রবিজ্ঞান কিছুদিন পূর্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় একথার সাক্ষ দিয়েছেন যে, "মুসলিম শাসকগণ" যদি বলদর্পি হতো, তবে একটি হিন্দু মালোয়ানও থাকতো না ভারতব্যাপী।
শতশত দলিলপত্র, স্থাপনায় আপনারা অগ্নিসংযোগ করে ঘুরিয়ে দিতে পারেন বটে আমাদের ঐতিহাসীক নিদর্শনগুলো কিছুতেই মুছে দেওয়া যাবেনা।
একটি ধ্বংস করে অন্য একটির দিক চোখ ঘুরিয়ে থাকালেই দেখবেন সেটাও মুসলিদের কৃতিসাধ্য।
প্রভুর মহিমায় কালের বিবর্তনে আজ আমরা বঞ্চিত, নিপীড়িত।
আমাদের অস্রবল নেই বলে আমাদেরকে এতটা দুর্বল ভেবে ভারত ছাড়ার হুমকি দিবেননা।
জনবল কম হলে আর কি হবে, আমরা তো ঈমানের বলে বলিয়ান।
মুহাম্মদ বিন কাসীমের সংকল্প নিয়ে যেদিন মাঠে রণ দামামা বাজবে! সেদিন দিল্লির মসনদ ভেঙ্গেচুরে চুরমার হয়ে ভারতে আকাশে "গজওয়ায়ে হিন্দের" পতাকা উড়বে।
এটা মাত্র সময়ের ব্যাপার!
আপনারা যে পশুটিকে রাষ্ট্রিয় "মা" ঘোষিত করলেন :-D এর চামড়া দিয়ে জুতু পড়তে দ্বিধা করেননা কেন?
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন