প্রত্যেহ ঈমান দাবীদার
অন্য মুসলিমকে কাফের সম্বোধন করা প্রসঙ্গে
বর্তমান ওয়াজ মাহফিল, ওরস ও ইসলামি সম্মেলনে নিজ দলকে "হক তথা আল্লাহর বান্দা ও নবীজির আশেক দাবীদার কতিথ অযোগ্য আলেম, নিজের ঈমানের প্রতি বেখিয়াল থাকা সত্তেও শীর্ষস্থানীয় বুযুর্গানে হক্কানীদের কাফের ফতোয়া দানে একটুও দ্বিধা করেনা।
সকল নবী-রাসুলগণের কাজ ছিল সকল বেধর্মীদের ঈমানদার বানানো, আর তথাকথিত ভন্ড আলেমের কাজ সকল কামেল ঈমানদারদের কাফের বানিয়ে দেওয়া।
মাহফিলে বসেই কাফেরের লম্বা এক লিস্ট তৈরি করে।
যেমন-(ফুলতুলি কাফের, ফরফুরা শরীফ কাফের,জৈনপুরী কাফের, আশরাফ আলী থানবী কাফের, কাসেম নানুথবী কাফের)
অথচ অনেক মনষীগণ নিজের জীবনে আছরের সুন্নাতে কাজা করেনি আর কাফের ফতোয়াবাজ মৌলভী ওয়াজ শেষে গন্তব্যপথ চলতি গাড়িতে ফজর নামাজ ঘুমিয়েই কাঠায় ।
এই হল আমাদের দেশের
কাফের ফতোয়াবাজ কথিত মৌলভী
কোনো মানুষকে কাফের বলা !
কোনো মানুষ যদি আমাদের
মতবাদে একমত না হয়, তাহলে
শুধুমাত্র লোকমুখে শোনা কথার
উপর ভিত্তি করে তাকে
কাফের বলতে ভয় করিনা,
চাই
তিনি যতো বড় মুমিন হোন না
কেন।
তাঁর ঈমানের বাস্তবতা
যাচাই করারও প্রয়োজন মনে করি
না এবং তাঁর ঐ জীবন
ইতিহাসের প্রতিও লক্ষ্য করি না,
যা তিনি দ্বীনের প্রচার-প্রসার
এবং সুন্নাত জিন্দা করার জন্য
ওয়াক্ফ রয়েছেন।
এমনকি তাঁর
সুন্নতের উপর আমল করার ইচ্ছার
মুল্যয়ন করা হয় না এবং আল্লাহ ও
নবীর ভালবাসার আগুন যা তার
বক্ষকে ভুনা করে ছেড়েছে
এবং কলিজাকে কাবাব
বানিয়ে দিয়েছে, এর কোনটার
প্রতিই লক্ষ করা হয় না।
অথচ
নির্দ্বিধায় তাঁদেরকে কাফের
বলে ফতোয়া দেয়া হয়।
এ
ধরণের অজ্ঞতার পরিণামের
কথা একটু চিন্তা করে নেয়া
দরকার।
হাদীস আছে,
() ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻰ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻳﻤﺎ ﺭﺟﻞ ﻗﺎﻝ ﻻﺧﻴﻪ
ﻛﺎﻓﺮﻓﻘﺪ ﺑﺎﺀ ﺑﻬﺎ ﺍﺣﺪ ﻫﻤﺎ ( ﻣﺸﻜﻮﺓ ﺷﺮﻳﻒ
ﺻـ )
অর্থ ঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর
(রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ করেন,
যদি কেউ
কোন মুসলমানকে কাফের বলে,
কাফের বলে ফতোয়া দেয়
তাহলে দুইজনের একজন অবশ্যই
কাফের হয়ে যাবে।
হাদীসের অর্থ হল, যাকে
কাফের বলা হল সে যদি
বাস্তবে কাফের হয় তাহলে
তো সে কাফের আছেই ও
থাকবে।
আর যদি সে কাফের না
হয় তাহলে কাফের শব্দ
উচ্চরণকারী কাফের হয়ে যায়।
কারণ সে ঈমানকে কুফর ও
কুফরকে ঈমান বলে সাব্যস্ত
করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
দ্বীন ও
ইসলামের স্তম্ভের উপর যারা
লাগামহীন ভাবে কুফরের
মেশিনগাণ চালায় তারা যেন
উক্ত হাদীসের প্রতি একটু লক্ষ্য
করেন।
কারণ এতে যাকে
কাফের বলা হল, তার ঈমানী
দুর্গের কোন ক্ষতি না হয়ে
বলনেওয়ালার ঈমানী কুঁড়েঘরটি
মাটির সাথে মিশে যাওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল।
তাই
কবি কলেন! এই ঘর যা জ্বলছে,
দেখ তোমার ঘর কিনা?
অন্য হাদীসে আছে,
() ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﺫﺭ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻﻳﺮﻣﻰ
ﺭﺟﻞ ﺭﺟﻼً ﺑﺎﻟﻔﺴﻮﻕ ﻭﻻﻳﺮﻣﻴﻪ ﺑﺎﻟﻜﻔﺮﺍﻻ ﺍﺭﺗﺪﺕ
ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻥ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺻﺎﺣﺒﻪ ﻛﺬﻟﻚ . ﺭﻭﺍﻩ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ- ( ﻣﺸﻜﻮﺓ ﺷﺮﻳﻒ ﺻـ )
অর্থ ঃ হযরত আবু যর (রা.) হতে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
কোন মানুষ অন্যের উপর যদি
ফিস্ক অথবা কুফরের অপবাদ দেয়,
আর বাস্তবে সে যদি এমন না হয়
তাহলে অপবাদদাতা ফাসেক বা
কাফের হয়ে যায়।
অর্থাৎ যাকে ফাসেক বা
কাফের বলা হল, বাস্তবে সে
যদি ফাসেক বা কাফের না হন।
তাহলে স্বয়ং বলনেওয়ালা
ফাসেক বা কাফের হয়ে যাবে।
(হে আল্লাহ! আপনি
আমাদেরকে এ ধরনের কথা
থেকে রক্ষা করুন)
-----মুফতী সিরাজী -----
অন্য মুসলিমকে কাফের সম্বোধন করা প্রসঙ্গে
বর্তমান ওয়াজ মাহফিল, ওরস ও ইসলামি সম্মেলনে নিজ দলকে "হক তথা আল্লাহর বান্দা ও নবীজির আশেক দাবীদার কতিথ অযোগ্য আলেম, নিজের ঈমানের প্রতি বেখিয়াল থাকা সত্তেও শীর্ষস্থানীয় বুযুর্গানে হক্কানীদের কাফের ফতোয়া দানে একটুও দ্বিধা করেনা।
সকল নবী-রাসুলগণের কাজ ছিল সকল বেধর্মীদের ঈমানদার বানানো, আর তথাকথিত ভন্ড আলেমের কাজ সকল কামেল ঈমানদারদের কাফের বানিয়ে দেওয়া।
মাহফিলে বসেই কাফেরের লম্বা এক লিস্ট তৈরি করে।
যেমন-(ফুলতুলি কাফের, ফরফুরা শরীফ কাফের,জৈনপুরী কাফের, আশরাফ আলী থানবী কাফের, কাসেম নানুথবী কাফের)
অথচ অনেক মনষীগণ নিজের জীবনে আছরের সুন্নাতে কাজা করেনি আর কাফের ফতোয়াবাজ মৌলভী ওয়াজ শেষে গন্তব্যপথ চলতি গাড়িতে ফজর নামাজ ঘুমিয়েই কাঠায় ।
এই হল আমাদের দেশের
কাফের ফতোয়াবাজ কথিত মৌলভী
কোনো মানুষকে কাফের বলা !
কোনো মানুষ যদি আমাদের
মতবাদে একমত না হয়, তাহলে
শুধুমাত্র লোকমুখে শোনা কথার
উপর ভিত্তি করে তাকে
কাফের বলতে ভয় করিনা,
চাই
তিনি যতো বড় মুমিন হোন না
কেন।
তাঁর ঈমানের বাস্তবতা
যাচাই করারও প্রয়োজন মনে করি
না এবং তাঁর ঐ জীবন
ইতিহাসের প্রতিও লক্ষ্য করি না,
যা তিনি দ্বীনের প্রচার-প্রসার
এবং সুন্নাত জিন্দা করার জন্য
ওয়াক্ফ রয়েছেন।
এমনকি তাঁর
সুন্নতের উপর আমল করার ইচ্ছার
মুল্যয়ন করা হয় না এবং আল্লাহ ও
নবীর ভালবাসার আগুন যা তার
বক্ষকে ভুনা করে ছেড়েছে
এবং কলিজাকে কাবাব
বানিয়ে দিয়েছে, এর কোনটার
প্রতিই লক্ষ করা হয় না।
অথচ
নির্দ্বিধায় তাঁদেরকে কাফের
বলে ফতোয়া দেয়া হয়।
এ
ধরণের অজ্ঞতার পরিণামের
কথা একটু চিন্তা করে নেয়া
দরকার।
হাদীস আছে,
() ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻰ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻳﻤﺎ ﺭﺟﻞ ﻗﺎﻝ ﻻﺧﻴﻪ
ﻛﺎﻓﺮﻓﻘﺪ ﺑﺎﺀ ﺑﻬﺎ ﺍﺣﺪ ﻫﻤﺎ ( ﻣﺸﻜﻮﺓ ﺷﺮﻳﻒ
ﺻـ )
অর্থ ঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর
(রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ করেন,
যদি কেউ
কোন মুসলমানকে কাফের বলে,
কাফের বলে ফতোয়া দেয়
তাহলে দুইজনের একজন অবশ্যই
কাফের হয়ে যাবে।
হাদীসের অর্থ হল, যাকে
কাফের বলা হল সে যদি
বাস্তবে কাফের হয় তাহলে
তো সে কাফের আছেই ও
থাকবে।
আর যদি সে কাফের না
হয় তাহলে কাফের শব্দ
উচ্চরণকারী কাফের হয়ে যায়।
কারণ সে ঈমানকে কুফর ও
কুফরকে ঈমান বলে সাব্যস্ত
করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
দ্বীন ও
ইসলামের স্তম্ভের উপর যারা
লাগামহীন ভাবে কুফরের
মেশিনগাণ চালায় তারা যেন
উক্ত হাদীসের প্রতি একটু লক্ষ্য
করেন।
কারণ এতে যাকে
কাফের বলা হল, তার ঈমানী
দুর্গের কোন ক্ষতি না হয়ে
বলনেওয়ালার ঈমানী কুঁড়েঘরটি
মাটির সাথে মিশে যাওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল।
তাই
কবি কলেন! এই ঘর যা জ্বলছে,
দেখ তোমার ঘর কিনা?
অন্য হাদীসে আছে,
() ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﺫﺭ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻﻳﺮﻣﻰ
ﺭﺟﻞ ﺭﺟﻼً ﺑﺎﻟﻔﺴﻮﻕ ﻭﻻﻳﺮﻣﻴﻪ ﺑﺎﻟﻜﻔﺮﺍﻻ ﺍﺭﺗﺪﺕ
ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻥ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺻﺎﺣﺒﻪ ﻛﺬﻟﻚ . ﺭﻭﺍﻩ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ- ( ﻣﺸﻜﻮﺓ ﺷﺮﻳﻒ ﺻـ )
অর্থ ঃ হযরত আবু যর (রা.) হতে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
কোন মানুষ অন্যের উপর যদি
ফিস্ক অথবা কুফরের অপবাদ দেয়,
আর বাস্তবে সে যদি এমন না হয়
তাহলে অপবাদদাতা ফাসেক বা
কাফের হয়ে যায়।
অর্থাৎ যাকে ফাসেক বা
কাফের বলা হল, বাস্তবে সে
যদি ফাসেক বা কাফের না হন।
তাহলে স্বয়ং বলনেওয়ালা
ফাসেক বা কাফের হয়ে যাবে।
(হে আল্লাহ! আপনি
আমাদেরকে এ ধরনের কথা
থেকে রক্ষা করুন)
-----মুফতী সিরাজী -----
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন