ব্লগটি শেয়ার করুন

মুফতী সিরাজী

কোরবানীর তাৎপর্য → মুফতী সিরাজী

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

অত্যাচারী ইয়াহুদী জাতি চির লাঞ্চিত ।

বিসমিল্লাহীর রাহমানির্রাহীম
★★★★★★★★★★★

মধ্য যুগে বিতারিত মুসাদ জাতি

ইহুদি সম্প্রদায় বা জুইশ কমিউনিটির ইতিহাস প্রায় ৩০০০ হাজার বছরের পুরনো।

পৃথিবীর ইতিহাস টেনে আনলে দেখা যায়, ইহুদিরা হলো সবচেয়ে অত্যাচারিত সম্প্রদায়, যাদের উপর শুধু বছরের পর বছর, শতশত বছর ধরে অত্যাচার করা হয়েছে। একটি নির্যাতিতও অত্যাচারিত সম্প্রদায় কিভাবে নিজেরাই অত্যাচারী হয়ে উঠল সে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিন হাজার বছর আগে ইহুদি সম্প্রদায়ের যাত্রা শুরু হয়। ইহুদীধর্ম পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম ধর্ম যা এখনো অনেক মানুষ পালন করছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরেলিদের আদি নিবাস ছিল। তবে তারা এখন যে জায়গা চিহ্নিত করছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। আল্লার নবী মুসা (আঃ) বা মোজেস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সম্প্রদায়ের সবচেয়ে সুন্দর সময় গিয়েছে খৃষ্টপূর্ব এক হাজার বছর আগে (হজরত) সম্রাট দাওদ (আঃ) বা ডেভিডের সময়।

দাবি করা হয় বর্তমান সময়ের লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান ও মিশরের বড় অংশই ছিল তখনকার কিংডম অব ইসরেলের অংশ।
ডেভিডের ছেলে (হজরত) সলোমন বা সোলাইমান (আঃ) এর সময়ও তাদের অবস্থা ভালো ছিল |

কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এ-জাতি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
 এ-সময় আসিরিয়ানরা ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ও দখল করে নেয়।

এরপর বিভিন্ন সময় ব্যাবিলনিয়ান, পার্সিয়ান, হেলেনেষ্টিক, রোমান, বাইজেনটাইন, অটোম্যান, বৃটিশ শাসনসহ বিভিন্ন পর্যায় পাড়ি দেয় এই অঞ্চল।

 আর এর প্রায় অনেকটা সময় জুড়েই ইহুদিদের তাড়া থেতে হয়। 


হযরত বেলাল রাদিঃ-এর ঘটনা

↓↓↓ মহানবী (সঃ) ইন্তেকালের

পরে বেলাল (রাঃ) এর কাহিনী ↓↓↓

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর
ইন্তেকালের পরের ঘটনাঃ
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর
ইন্তেকালে বেলাল (রাঃ) প্রায়
পাগলের
মতো হয়ে গেলেন ।

তিনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছেন ।
সাহাবীরা তাকে এ
বিষয়ে জিজ্ঞাসা
করলে তিনি বলেন :-
"যে দেশে মহানবী (সঃ) নেই,
আমি সেখানে থাকবো না"।

এরপর
তিনি মদীনা ছেড়ে দামস্কে চলে যান

কিছুদিন পরে বেলাল (রাঃ)
সপ্নে দেখলেন যে মহানবী (সঃ)
তাকে বলছেন,
"হে বেলাল (রাঃ) তুমি আমাকে
দেখতে আসো না কেন ''?
এ সপ্ন দেখে তিনি মহানবী (সঃ)
এর রওজা মুবারক দেখতে
মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হন ।

বেলাল (রাঃ) এর আগমনের
খবরে মদীনাবাসী আনন্দে
আত্মহারা হয়ে যায় ।
বেলাল (রাঃ) হলেন মহানবী (সঃ)
এর নিযুক্ত মুয়াজ্জিন ।

মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর
বেলাল (রাঃ) আর আযান দেননি ।
তার কন্ঠে আযান শুনতে
সাহাবীরা ব্যাকুল হয়ে আছেন ।

তারা তাকে আযান দিতে বললে
তিনি বলেন যে, তিনি পারবেন না ।

অনেক জোর করে তাকে বললে
তিনি উত্তরে বলেন,
"আমাকে অযান দিতে বলো না ।

কারণ এটা আমি পারবো না ।
আমি যখন আযান দিই তখন
'আল্লাহু আকবর' বলার
সময় আমি ঠিক থাকি ।

'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
বলার সময়ও ঠিক থাকি।
'আশহাদু অন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ'
বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে
তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ)
বসে আছেন ।

কিন্তু যখন
মিম্বারে তাকিয়ে তাকে দেখবো না,
তখন সহ্য করতে পারবো না।"
কিন্তু তবুও সাহাবীরা জোর করলো ।

অবশেষে হাসান ও হোসাইন (রাঃ)
এসে তাকে জোর
করলে তিনি রাজী হন ।

তার আযান শুনে সকল সাহাবীর
চোখে পানি এসে যায় ।
কিন্তু আযানের মাঝেই বেলাল (রাঃ)
বেহুশ হয়ে পরে যান ।
তাকে সকলেই ধরে নিয়ে যান ।

পরে জ্ঞান ফিরার পর
তিনি সকলকে বলেন,
"আমি যখন আযান দিচ্ছিলাম তখন
'আল্লাহু আকবর' বলার
সময় আমি ঠিক ছিলাম ।

'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
বলার সময়ও ঠিক ছিলাম ।
 কিন্তু
'আশহাদুঅন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ'
বলার সময় মসজিদের মিম্বারের
দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ)
আজ সেখান বসে নেই ।

এ দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম না।

তাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।"


Twitter Delicious Facebook Digg Favorites More